রায়হান ইসলাম : রাজশাহীর দূর্গাপুরে নদীতে পা ধুতে নেমে ভেসে যাওয়া তিন শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে দূর্গাপুর থানার এক পুলিশ সদস্য । মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে থানা সংলগ্ন মন্দিরের কাছে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল দশটার দিকে মন্দিরের কাছে খেলা করছিল ওই তিন শিশু হঠাৎ খেলার সময় মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হোজা নদীতে পা ধুতে যায় তারা কিন্তু পানির প্রবল স্রোতে ভেসে যেতে থাকে ওই তিন শিশু। এ সময় অনেকেই আশপাশ থেকে তাকিয়ে দেখলেও কেউ এগিয়ে যাননি ওই তিন শিশুকে বাঁচাতে। তবে তিন শিশুর স্রোতে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি পুলিশ কনস্টেবল আতিক। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোত উপেক্ষা করে ঝাপিয়ে পড়েনে নদীতে। অবশেষে ওই তিন শিশুকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে তীরে উঠে আসেন তিনি। এমন সাহসী কাজের জন্য সবার কাছে প্রশংসায় ভাসছেন আতিক।
স্রোতে ভেসে যাওয়া ওই তিন শিশু হলো, দুর্গাপুর থানার
পুলিশ কনস্টেবল জাকির হোসেনের পুত্র মাহাদী (১১), স্থানীয় ইয়ানুচ আলীর পুত্র রুবেল (১১) ও কলেজ শিক্ষক আয়নাল হকের পুত্র স্বচ্ছ (১০)।
থানা পুলিশের ড্রাইভার আতিক জানান, সকাল ১০ টার দিকে মানুষের চিৎকার শুনে বাসার পেছন দিকে নদীর পাশে যেতেই দেখি তিন শিশু পানির প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। অনেকেই নদীর দুই পাশ থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখছে, কেউবা মোবাইলে ভিডিও করছে বা ছবি তুলছে। ওই শিশুদের কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসছেনা। এ দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে না পেরে প্রবল স্রোতে ঝাপিয়ে পড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করতে। নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকেই তাদের উদ্ধার করেছি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা বলেন, আতিক অনেক সাহসী একটা ছেলে। এমন কাজের জন্য সে নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। পুলিশ কনস্টেবল আতিকের সাহসী ও মানবিক এমন কর্মকান্ডের বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।